অটিজম এর ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্তিমূলক আচরন
পুনরাবৃত্তিমূলক আচরন অটিস্টিক শিশুদের একটি অন্যতম প্রধান নির্নায়ক বৈশিষ্ট্য।
পুনরাবৃত্তিমূলক আচরন বলতে সাধারণত বোঝায় এক আচরন বারবার করা।
অটিস্টিক শিশুরা শারীরিক ভাবে
স্বাভাবিক এবং পেশী নিয়ন্ত্রন ক্ষমতা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কিছু অস্বাভাবিক পুনরাবৃত্তি মূলক আচরন তাদের অন্য শিশুদের থেকে আলাদা করে।এই আচরন গুলি প্রায়ই সন্তানের পিতা-মাতার উদ্বেগের কারন হয়।
স্বাভাবিক এবং পেশী নিয়ন্ত্রন ক্ষমতা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কিছু অস্বাভাবিক পুনরাবৃত্তি মূলক আচরন তাদের অন্য শিশুদের থেকে আলাদা করে।এই আচরন গুলি প্রায়ই সন্তানের পিতা-মাতার উদ্বেগের কারন হয়।
এই আচরন গুলি যেকোনো শারীরিক অঙ্গ সঞ্চালনের পুনরাবৃত্তি , যেকোনো বস্তু ব্যাবহারের পুনরাবৃত্তি বা শব্দের ব্যবহার এর পুনরাবৃত্তি হতে পারে। আপাতদৃষ্টিতে তার কোনো উদ্দেশ্য নেই।
অবশ্য বহু ক্ষেত্রে প্রত্যেক মানুষের মধ্যে পুনরাবৃত্তি মূলক আচরন দেখা যায়।যেমন-অনেকেই পড়ার সময় দুলে দুলে পড়ে বা বসে বসে পা দোলায়। কিন্তু যাদের অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার আছে তাদের মধ্যে
এই প্রবনতা সবথেকে বেশি।
এই পুনরাবৃত্তি মূলক আচরন তীব্রতর ও মৃদু দুই হতে পারে। এই ধরনের আচরন বিভিন্ন প্রকার বা প্রকারন্তরে অন্তহীন হতে পারে।এর মধ্যে যেগুলি খুব ব্যাপক ভাবে দেখা যায় সেগুলো হলো ১)হাতের ক্রমাগত সঞ্চালন বা হাত নাড়তে থাকা।২)পায়ের সামনের অংশে ভর দিয়ে হাঁটা।৩) কোনো বিশেষ ভঙ্গীতে দীর্ঘক্ষন স্থির হয়ে যাওয়া।৪) খেলনা গাড়ির চাকা ঘুরিয়ে সেদিকে তাকিয়ে থাকা।৫) খেলনা সারিবদ্ধভাবে সাজানো ।৬)এক কথা বার বার বলা।
এরা এই কাজ গুলো অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে করে এবং বারবার করতেই থাকে।এই কাজে বাধা দিলে অত্যন্ত বিরক্ত হয় এবং কষ্ট পায়।
কোনো সাধারণ তুচ্ছ জিনিস সেটা একটা ঠোঙা হতে পারে বা কোনো ভাঙা জিনিসের টুকরো কখনো কাছছাড়া করে না।
এরা চায় এদের আশেপাশের পরিবেশ তেমন আছে ঠিক যেন তেমন থাকে। দৈনন্দিন জীবনের রুটিনের পরিবর্তনে এরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।যেমন-ঘরের কোনো আসবাবপত্রের পরিবর্তন বা স্কুলে রে রাস্তা দিয়ে রায় সেই রাস্তার পরিবর্তন বা খাওয়ার সময়ের পরিবর্তন।
এদের কাছে বৃহৎ পৃথিবী অত্যন্ত জটিল। তাই এরা সাজানো গোছানো সরল পৃথিবীতে ই স্বচ্ছন্দ।
পুনরাবৃত্তি মূলক আচরন সম্পর্কে মনোবিদ দের ধারনা এরা নিজেদের এইভাবে একটি জগৎ তৈরি করে নিজেদের ব্যস্ত রাখে। বাইরের পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ যথাযথ ভাবে করতে না পারায় এরা খুব সামান্য ব্যাপারেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।হয়ত বা এই ভাবে মানসিক প্রশান্তি নিজেরাই তৈরি করে নেয়।
কিন্তু বেশ বহুক্ষেত্রে এই আচরন ক্ষতিকারক। অনেক শিশুই বারবার নিজেকে আঘাত করে বা মাথা দেওয়ালে ঠুকতে থাকে।
আবার পড়াশোনা বা নতুন কিছু শেখার ক্ষেত্রে এই আচরন বাধা সৃষ্টি করে।কারন তার মনোসংযোগ ব্যহত হয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন