অটিস্টিক শিশুদের জন্য সাধারণ শিক্ষাঙ্গন
কিন্তু এরা এই সমাজেরই অংশ। প্রত্যেক শিশুর যা মৌলিক অধিকার তা থেকে এদের বঞ্চিত করা যায় না। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, পরিচর্যা পেলে এরাও পরিনত হবে মানব সম্পদে।
সুযোগ পেলে এই শিশুরা সাধারণ স্কুলে লেখাপড়া করতে পারে।এরকম বেশ কিছু উদাহরণ আছে।
Madhyamic এবং CBSE বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি স্কুল অটিজম,সেরিব্রাল পালসি সহ মানসিক প্রতিবন্ধকতা যুক্ত শিশুদের নিতে বাধ্য। যদিও বাস্তবে এর রূপায়ন যথাযথভাবে হয়নি।বহু স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজদের কর্তব্য সরলীকরণের জন্য এই ধরনের শিশু দের সাধারণ স্কুলে ভর্তি নেয় না বা নিলেও যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে চায় না।
কিন্তু মনোবিদ এবং চিকিৎসক উভয়ের মতেই পরিবার পরিজন এর পাশাপাশি শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ অটিস্টিক শিশুর কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। অটিস্টিক শিশুর কাছে সামাজিক মেলামেশার দ্বার উন্মুক্ত করতেই হবে। এর উপযুক্ত জায়গা বিদ্যালয় প্রাঙ্গন। সেখানে সে পাবে বন্ধুবর্গ।যারা হবে তার সহযোগী মিত্র। যদিও এইসব শিশু দের আত্মকেন্দ্রিক আচরন, মেজাজ ও আগ্ৰহের বিভিন্নতা , সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় অদক্ষতার কারণে অন্য শিশুরা এদের সঙ্গে মতবিনিময় করে না। কিন্তু তার মধ্যে ও কিছু শিশু এদের সঙ্গে মতবিনিময় করে। সর্বোপরি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংবেদনশীলতা এবং ইতিবাচক মনোভাব বৃদ্ধি পায়।
অটিস্টিক শিশু ও মূলধারার বিদ্যালয়ে অনেক ইতিবাচক অভিজ্ঞতা অর্জন করে। পড়ালেখা ছাড়াও তার সার্বিক বিকাশে ঘটে। যদিও অত্যন্ত ধীরগতিতে। বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন শিশু দের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
তবে এদের শিখন পদ্ধতির ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের চেয়ে একটু বেশি যত্নবান হতে হবে।
বিদ্যালয়ের উন্মুক্ত অঙ্গনে শিক্ষার্থী, অভিভাবক,শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের মিলিত প্রচেষ্টায় বিশাল পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় আনার প্রচেষ্টায় এরাও সফল হবেই হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন