অটিজমের সাথে সম্পর্কিত সম্ভাব্য শারীরিক সমস্যাবলী(Potential Physical Problems assosiated with Autism)
অটিজম আক্রান্তদের সহ বিদ্যমান বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাটি সরাসরি অটিজম এর সঙ্গে জড়িত একটি বৈশিষ্ট্য অথবা শিশুর সম্পূর্ণ পৃথক একটি সমস্যা কিনা তা নির্ধারন করা।এই সব সমস্যা গুলোর নির্দিষ্ট চিকিৎসা প্রয়োজন। কিছু সাধারণ সমস্যা আলোচনা করা হল।
খিঁচুনির সমস্যা
অটিজম এর সঙ্গে জড়িত সবচেয়ে সাধারণ ব্যাধি গুলির একটি খিঁচুনি। অটিজম আছে এমন শিশুদের 5%থেকে 38% শিশুদের খিঁচুনি হবার সম্ভাবনা আছে। যেখানে বাকি সাধারণ শিশু দের ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা মাত্র 1%থেকে 2%।
অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তির জীবদ্দশায় যে কোনো সময়ে খিঁচুনি হতে পারে। তবে সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে শুরু হয়। শিশু কালেও হতে পারে। মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে তড়িৎপ্রবাহের তারতম্যের কারণে খিঁচুনি হতে পারে।ইইজির এটি সনাক্তকরন করা হয়। অটিজম আছে শিশু যাদের তিন বছর এর আগে ধীরে ধীরে ভাষা দক্ষতা হ্রাস পেয়েছে তাদের খিঁচুনির হার বেশি সমীক্ষা অনুযায়ী। অনেক ক্ষেত্রে absent seizure দেখা যায়।যা সনাক্ত করা বেশ কষ্টসাধ্য। শিশু কয়েক সেকেন্ড এর জন্য শূন্যের দিকে বা মহাকাশের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে।
ঘুমের সমস্যা
অটিজম আছে এমন 40% শিশুর ঘুমের সমস্যা আছে। ঘুমের সমস্যা একটি বড় সমস্যা। অসঙ্গতিপূর্ণ ঘুমের রুটিন, অস্থিরতা বা দূর্বল ঘুমের মান, তাড়াতাড়ি জেগে ওঠা,ঘনঘন জেগে ওঠা, দেরীতে রাতে ঘুমানো এই গুলি এদের সাধারণ। বৈশিষ্ট্য।এই সমস্যা বাচ্চার সামগ্ৰিক স্বাস্থ্য কে প্রভাবিত করে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা
সাধারণ শিশু দের থেকে অটিজম আক্রান্ত শিশুরা প্রায় আট গুণ বেশি এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যাথা,ঘনঘন ডায়েরিয়া,গ্যাসট্রাইটিস এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়। শিশু যখন এই সমস্যায় আক্রান্ত হয় তখন যোগাযোগ এর অক্ষমতার জন্য আচরনগত সমস্যা তৈরি হয়।এই সমস্যায় আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত উপসর্গ প্রদর্শন করতে পারে না।তাই বাবা মা বূঝতে পারে না । কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য যা সমস্যা বুঝতে সাহায্য করতে পারে।
1) অতিরিক্ত কাশি
2) খাবার গিলতে অস্বীকার করা
3) অতিরিক্ত চিবানো,কাপড় চিবানো
মাথাব্যথা
অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তির খুব সাধারণ একটা ব্যাপার মাথাব্যথা। সংবেদনশীল হাইপার শিশুর মাইগ্ৰেন হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া যেসব শিশু বেশি মাত্রায় দুশ্চিন্তা করে তাদের ও মাইগ্ৰেনের সম্ভাবনা আছে।
খাবারে এলার্জি
এইরকম শিশুর কোনো খাবার বা পরিবেশের কোনো বস্তুর প্রতি বিশেষ এলার্জি থাকতে পারে। কিছু খাবারের প্রতিক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট প্রদাহ মস্তিষ্ক কে স্বাভাবিক এর থেকে বেশী সক্রিয় করে।
হাঁপানি
হাঁপানি একটি অটো ইমিউন ডিজিজ যা ফুসফুসের প্রদাহ সৃষ্টি করে।অটো ইমিউন ডিজিজ এর সঙ্গে অটিজম সম্পর্কিত বলে অনেকে মনে করেন। একজিমা এবং অন্যান্য অটো ইমিউন ডিস অর্ডারে এরা অনেক বেশি আক্রান্ত হয়।
শেখায় অক্ষমতা
অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তির যেকোনও স্তরের বুদ্ধিমত্তা থাকুক না কেন তারা শেখার অক্ষমতায় ভোগে। প্রায়শই তাদের ডিসলেক্সিয়ার মত শেখার অক্ষমতা নির্নীত হয়।তার মূল কারণ মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে অস্বাভাবিক নেটওয়ার্কিং। সাধারণ শিশুরা এক ই ভাবে নতুন জিনিস শেখে কিন্ত্ত অটিস্টিক শিশুদের শিখন প্রক্রিয়া চরম হয়।তারা একটি বিশেষ কার্যকলাপ শেখে অত্যধিক। আবার কখনও কখনো কখনো একটি সহজ,মূল বিষয় শিখতে আকর্ষণ হয়।কারোর অস্বাভাবিক ক্ষমতা থাকে যেমন খুব কম বয়সে পড়তে পারে (হাইপারলেক্সিয়া)।কারো ব্যতিক্রমী গানিতিক ক্ষমতা থাকে। অন্য শিশুদের ক্ষেত্রে গনিতের শিক্ষা খুব কঠিন।
পিকা
যারা গুরুতর ভাবে অটিজম আক্রান্ত তাদের অনেকেই অখাদ্য, কুখাদ্য খাবার খেতে থাকে।যেমন মাটি,পেস্ট,ক্রেয়ন।
এইরকম বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ভীষনভাবে অটিস্টিক শিশুদের দেখা যায়।সতর্ক দৃষ্টি রেখে শিশু কে উপযুক্ত সময়ে চিকিৎসা করালে অবশ্যই সমস্ত থেকে কিছু টা হলেও মুক্ত হওয়া যায়।
Very much useful content.Thanks a lot.
উত্তরমুছুনThanks
উত্তরমুছুন